বর্তমানে বেনাপোল-খুলনা রুটে চলাচলকারী একমাত্র ট্রেন বেতনা এক্সপ্রেস। ট্রেনটির পূর্বনাম ছিল - বেনাপোল কমিউটার। ২০১৯ সালে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস চালু হলে দেখা দিলো বিপত্তি। দুটি ট্রেনেরই নাম প্রায় একই। বিপত্তির সমাধানে রেলের তৎকালীন মহাপরিচালক ঝিকরগাছার কৃতি সন্তান মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বেনাপোল কমিউটার ট্রেনটির নাম পরিবর্তন করে 'বেতনা এক্সপ্রেস' করেন। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হয়।
প্রথমে দিকে ট্রেনটি দিনে একবার যাতায়াত করলেও ২০১৭ সালের ১ মার্চ থেকে দুইবার চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে এটি এই রুটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন হয়ে দাড়িয়েছে। এর একটি অন্যতম কারণ বাংলাদেশের ফুলের রাজধানীর হিসেবে পরিচিত গদখালির পর্যাটন শিল্প।
সময়সূচি
বেতনা এক্সপ্রেস সপ্তাহে প্রতিদিন ২বার খুলনা-বেনাপোল ও বেনাপোল-খুলনা রুটে যাতায়াত করে।
প্রতিদিন সকাল ৬ঃ৪৫ মিনিটে এবং ১২ঃ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সকাল ৮ঃ৩৫ এবং ২ঃ১৫ মিনিটে ঝিকরগাছায় পৌঁছায়। ঝিকরগাছা থেকে সকাল ১০টা এবং বিকাল ৫ঃ৩৫ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে রাত ৮ঃ৩৫ মিনিটে খুলনায় পৌছায়।
যেভাবে টিকিট কাটবেন
বেনাপোল-খুলনা রুটের বেতনা এক্সপ্রেসের টিকিট কিনতে সরাসরি স্টেশনে যেতে হবে। অনলাইনে টিকেট সংগ্রহের কোনো সুযোগ নেই। সাধারণত ট্রেন আসার ৩০ মিনিট আগে থেকে টিকিট বিক্রয় করা শুরু করে।
টিকিটের মূল্য
বেনাপোল থেকে খুলনা যেতে টিকিটের মূল্য ৪৫ টাকা। ঝিকরগাছা থেকে যশোর জংশন, সিঙ্গিয়া ও নোয়াপাড়ার ভাড়া ২০টাকা। দৌলতপুর ও খুলনার ভাড়া ৩৫ টাকা। ঝিকরগাছা থেকে নাভারনের ভাড়া ২০ টাকা ও বেনাপোলের ভাড়া ২৫ টাকা।
রুট ও যাত্রা বিরতি
বেতনা এক্সপ্রেসটি বেনাপোল থেকে নাভারণ হয়ে ঝিকরগাছা থেকে যাত্রা শুরুর পর যশোর জংশন, নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া, নোয়াপাড়া দৌলতপুর ও খুলনা।