পহেলা বৈশাখ : মহাজনি কারবার থেকে বাঙালির উৎসব

পহেলা বৈশাখ : মহাজনি কারবার থেকে বাঙালির উৎসব


'পহেলা বৈশাখ' শব্দদ্বয় শুনলেই মনসপটে ফুটে উঠে হালখাতা, গ্রামীণ মেলা, পান্তা-ইলিশ কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রার ছবি। বাঙালির জাতীয় জীবনে পহেলা বৈশাখ হয়ে উঠেছে সত্যিকার অর্থে এক সার্বজনীন উৎসব। এখানে নেই জাতী, ধর্ম, গোত্রের ভেদাভেদ। পাকিস্তান আমল থেকে এরশাদের স্বৈরশাসন। পহেলা বৈশাখকে বাঙালি ব্যবহার করেছে প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে। যে পহেলা বৈশাখ ছিল মূলত জমিদারদের শোষণনীতির কৌশল তা কীভাবে হয়ে উঠলো বাঙালির প্রাণের উৎসব ও প্রতিবাদের ভাষা? সেই ইতিহাসই জানাবো আজ।

তবে নতুন বছর যদি ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হয়, এবং এখন যদি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ চলে তবে বাংলা সন শুরু হয় ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে। যা মোটামুটি শশাঙ্ক এর সময়কাল ধরে নেওয়া হয়।

বৈশাখের উৎস সন্ধান করতে হলে ফিরে যেতে হবে উজ্জয়িনী নগরের রাজা বিক্রমাদিত্য এর কাছে। কারণ বাংলা বারো মাসের নাম সেই সময়ের শুরু। নীতিশ সেনগুপ্তের মতে, আমরা আজকের যে দিনপঞ্জি দেখতে পাই তা বিক্রমী দিনপঞ্জির সঙ্গে সম্পর্কিত। সেই দিনপঞ্জির নামকরণ করা হয়েছে খ্রিস্টপূর্ব ৫৭ অব্দে রাজা বিক্রমাদিত্যের নাম অনুসারে।

ইতিহাসবিদ শামসুজ্জামান খান দিনপঞ্জি উদ্ভবের কৃতিত্ব আরোপ করেন ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্কের উপর। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট আকবর এটিকে রাজস্ব বা কর আদায়ের উদ্দেশ্যে পরিবর্তিত করেন। সুতরাং এ থেকে আমরা স্পষ্ট ধারণা করতে পারি যে বাংলা বারো মাসের নাম এবং সপ্তাহের সাত দিন আরো অনেক আগে থেকে বাংলায় প্রচলিত। কে, কবে, কখন দিন মাসের নামকরণ করেন তার তথ্য নিদিষ্ট করে বলা শক্ত। তবে নতুন বছর যদি ১৪৩০ বঙ্গাব্দ হয়, এবং এখন যদি ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ চলে তবে বাংলা সন শুরু হয় ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে। যা মোটামুটি শশাঙ্ক এর সময়কাল ধরে নেওয়া হয়।

রাজা যায়, রাজা আসে বৈশাখ আসে না!

মৌর্য, গুপ্ত, পাল সেন, চন্দ্র, সুলতানী আমল,তুর্কী শাসন ঘুরে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইবরাহিম লোদির বিরুদ্ধে বাবরের জয়ের মাধ্যমে ভারতের ক্ষমতায় তখন মোঘল বংশ। বাবরের পুত্র হুমায়ূন, হুমায়ুনের পুত্র আকবর। তেরো বছর বয়সে আকবর যখন সিংহাসনে বসেন সময়কাল তখন ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন। বৈরাম খানের তত্ত্বাবধানে তিনি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন। খাজনা আদায়ের সুবিধা এবং হিসাবনিকাশ করার জন্য প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করেন। ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। তবে হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সঙ্গে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত।

তখনো বাংলায় পহেলা বৈশাখের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, সুতরাং পহেলা বৈশাখকে প্রকৃত অর্থে হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য বলার সুযোগ নেই। যা আছে তা কৃষকদের কপালে অসময়ে খাজনা মেটানোর দুর্ভোগ। রাজা, সেনা, সামন্ত সকলের বিলাসী জীবনের একমাত্র উৎস যে কৃষকের খাজনা সেই খাজনা যখন আদায় হচ্ছে না তখন বিকল্প সময় নির্ধারণে জন্য জরুরি সভা বসালেন সম্রাট আকবর।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজির নেতৃত্বে এক নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরি করা হলো। বর্ষপঞ্জির শেষ দিনের মধ্যে কৃষকদের সকল খাজনা পরিশোধ করতে হবে এবং নতুন দিনে নতুন জমির দাদন ভাগ করে দেওয়া হবে কৃষকদের মাঝে। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সনের প্রবর্তক না বলে সঠিক ভাবে বলতে হয় তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন। সম্রাটের আদেশ মতে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। এই বর্ষপঞ্জির নাম ছিলো তখন 'ফসলি সন'।

বারো মাসে বছর এবং বর্ষপঞ্জির প্রথম মাসকে বৈশাখ ধরে আকবরের সময়ে যে পঞ্জিকা তৈরি হয় তা অনুসারে প্রথম পহেলা বৈশাখ শুরু হয়। এবং কৃষকদের জন্য নিয়ম ধার্য্য করা হলো প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে।

সারা বছরের কষ্টার্জিত ফসল মহাজনের ঘরে তুলে দিয়ে কৃষক সর্বস্বহারা। নতুন বছরের, নতুন দিনে মহাজনের বাড়ি যেতে হতো নতুন করে ফসলের বীজ কেনার পয়সা আনতে। মহাজনেরা নতুন খাতায় কৃষকদের নাম পরিচয় লিখে, বছরের প্রথম দিনে নিজেদের ব্যবসার শুভারম্ভ করতো। সাথে কৃষকদের মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করতেন।

ইতিহাসবিদ শামসুজ্জামান খানের মতে, বাংলার মুঘল সুবাদার মুর্শিদ কুলি খান প্রথম পুন্যাহ এর রীতি শুরু করেন, যার অর্থ হচ্ছে "ভূমি রাজস্ব আদায়ের উৎসবের দিন"। মহাজনদের ঘরে নতুন ফসল উঠার এই দিনে তারা বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করতো। এই সকল উৎসব ছিলো অধিক কৃষকদের আকৃষ্ট করার এক পন্থা। নিজ নিজ এলাকায় কৃষকরা যেন অধিক পরিমাণে জমি বর্গা নিতে আগ্রহী হয় তাই এই অনুষ্ঠান।

সোনারগাঁও অঞ্চলের জমিদার ঈসা খাঁ খাজনা আদায়ের দিন উৎসবের আয়োজন করতেন। অর্থাৎ বৈশাখ উৎযাপন করতেন। সেই সময়ে বউমেলা হতো, ঘোড়া মেলা হতো। সেখানে স্থানীয় বটতলায় কুমারী, নববধূ ও মায়েরা তাদের মনের ইচ্ছা পূরণে পূজা করতো। পাঁঠা বলি দেয়া হতো। লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, আগে যামিনী সাধন নামের এক ব্যক্তি নববর্ষের দিন ঘোড়া চড়ে সবাইকে প্রসাদ দিত। তার মৃত্যুর পরে সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয় এবং পরবর্তীতে এটিকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন হয়।

বাংলা শুভ নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ আর্তব উৎসব তথা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। তখন এর মূল তাৎপর্য ছিল কৃষিকাজ। প্রাযুক্তিক প্রয়োগের যুগ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের ঋতুর উপরই নির্ভর করতে হত। পরবর্তীতে এই উৎসবের তালিকায় যোগ হয় শুধুমাত্র হালখাতা। হালখাতা মূলত ছিল তৎকালীন জমিদারদের মহাজনি কারবার।

১৭৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন হতে দেখা যায়। কিন্তু এগুলো গ্রামীণ কোন মেলা ছিলো না, ধর্মস্থানে আগমনকারী মানুষের সমাগমে এ মেলা হতো। তারপর থেকে সারা ভারতবর্ষে মেলা ছড়িয়ে পরে। পরবর্তী সময়ে মেলার বিস্তৃতি ঘটে আমাদের লোকালয়ে, যা আমাদের সর্বজনীন সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এইসব মেলা পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে নয়। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বাংলা গ্রামে গ্রামে মেলা শুরু হয়েছে তারও অনেক পরে।

আধুনিক নববর্ষ উদযাপন

আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ব্রিটিশ আমলে। ১৯১৭ সালে। ব্রিটিশরা বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ যেন করে সেজন্য পহেলা বৈশাখের দিন প্রার্থনা সভা, হোম, র‍্যালি ইত্যাদি করেছিল তৎকালীন ভারতীয় বাঙালিরা। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। তবে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয়নি।

পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী বাংলাদেশের মানুষের উপর উর্দু সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার লক্ষে পাকিস্তানে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ করে। তার প্রতিবাদে ছায়ানটের উদ্যোক্তাগণ রমনার বটমূল এ পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে। যেখানে গাওয়া হয় "এসো হে বৈশাখ, এসো হে......."। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাড়তে থাকে পহেলা বৈশাখ বরণের সাড়ম্বরতা। ১৯৬৭ সালে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে ওয়াহিদুল হক, সানজিদা খাতুন, ডঃ নওয়াজেশ আহমদ, কমল সিদ্দিকী, আনোয়ারুল হক পিয়ারু উল্লেখযোগ্য।

পান্তা-ইলিশ

একুশ শতাব্দীতে এসে বাঙালির বৈশাখের সঙ্গে যোগ হয় পান্তা-ইলিশ। রমনার বটমূল থেকে শুরু করে পুরো বাংলাদেশেই শুরু হয় নববর্ষের সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া। তবে এসব কিছুর শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। জানা গেছে, চৈত্রের কোনো এক বিকেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মী। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন সাংবাদিক বোরহান আহমেদ, উনিই নাকি রমনার বটমূলে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার প্রস্তাব দেন, এবং তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে তার সহযোগীরা মিলে ৫ টাকা করে চাঁদা তুলে পুরো আয়োজনের ব্যবস্থা করলেন। বাজার করা হলো, রান্না হলো, রাতে ভাত রান্না করে পান্তা তৈরি করে তাতে কাঁচামরিচ-শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ ও ইলিশ ভাজা নিয়ে পরদিন বৈশাখের ভোরে হাজির হলেন বটমূলের রমনা রেস্টুরেন্টের সামনে। আর সেই প্রথমবার মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সব পান্তা-ইলিশ।

১৯৬৭ থেকে ১৯৮৩ এই সময়কালের মধ্যে পহেলা বৈশাখ উৎযাপন জনপ্রিয়তা পায়। প্রথমে পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠী যে নির্যাতন চালাতো আমাদের ভাষার উপর, আমাদের সংস্কৃতির উপর তার প্রতিবাদ সরূপ বৈশাখ উৎযাপন জনপ্রিয়তা পায়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ যেমন ভাষার দাবীতে এক হয়েছিলো, ঠিক তেমনি বৈশাখকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যোগদান করতেন। স্বাধীনতার পরে আমাদের উপর চড়াও হয় অন্য শাসকগোষ্ঠী। শৈরাচারি শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম শোভাযাত্রা হয় যশোরে। শিশু, নারী, পুরুষ বিভিন্ন সাজপোশাকে সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। সে ছিলো শোষনের বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের প্রতীকী।

পাকিস্তানি শাসনামলে তৈরি হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদ। ভাষার দাবীতে যে জাতী এক হয়, ধর্মীয় উৎসবে তাতে আবার ভাঙনের সুর বাজে। পহেলা বৈশাখ একমাত্র উৎসব যেখানে বাঙালি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক হয়। জাতীয়তাবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য পহেলা বৈশাখ জাতীয়ভাবে সারাদেশে পালিত হতে থাকে। বাংলার গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায় এ বৈশাখ। এ মেলা নববর্ষকে যেমন উৎসবমুখর করে তোলে, তেমনই প্রাণের সঞ্চার হয় আমাদের মনে। মেলা উপলক্ষ্যে ব্যস্ত হয়ে ওঠে একশ্রেণির পেশাজীবী মানুষ। তারা রাতদিন কষ্ট করে মেলা ও বৈশাখীর উপকরণ তৈরি করে। আমাদের বৈশাখী মেলায় পাওয়া যায় কারুপণ্য, কৃষিজাত দ্রব্য, লোকশিল্প জাত জিনিস, কুটিরশিল্পসামগ্রী, খেলনা, নারীদের সজ্জাসামগ্রী, চিড়া, মুড়ি, খই, বাতাসা, চিনির সাজসহ নানা কিছু।

১৯৮৯ সালে চারুকলার শিক্ষার্থীদের আয়োজনে 'আনন্দ শোভাযাত্রা'

মঙ্গলশোভাযাত্রা

বাঙালি মুক্তির আন্দোলনের আতুরাশ্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ সামরিক শাসনের চোখের আড়ালে মাত্র কয়েকজন মিলে একটা পথযাত্রা করেন। তারপর বৈশাখকে কেন্দ্র করে ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল-শোভাযাত্রা শুরু করে চারুকলার শিক্ষার্থীরা। তবে এরও আগে ১৯৮৬ যশোরে হয়েছিল এর গোড়াপত্তন। যশোরের সেই 'নববর্ষের শোভাযাত্রা' থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের 'আনন্দ শোভাযাত্রা' হয়ে আজকের 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'।

উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা অনুষদ থেকে আয়োজিত যে মঙ্গল-শোভাযাত্রার বের করে, সেটিকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষাণা করে। বাংলাদেশে নববর্ষ ১৪ এপ্রিল পালিত হলেও পশ্চিম বঙ্গে তা ১৫ এপ্রিল পালন করা হয়।

বছরের প্রথম দিন আসাম, বঙ্গ, কেরল, মনিপুর, নেপাল, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অনেক আগে থেকেই পালিত হত। বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুভ নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয় এখন। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়।

তথ্য সূত্র
  • আল বেরুনীর ভারততত্ত্ব
  • আইন-ই-আকবরী - আবুল ফজল
  • বাংলাদেশের ইতিহাস - মাহবুবুর রহমান
  • মুঘল ভারতের কৃষি - ইরফান হাবিব
  • বাবরনামা
  • হুমায়ুননামা
  • শামসুজ্জামান খানের বাঙালির ঐতিহ্য
  • নীতিশ সেনগুপ্তের বাঙালির ইতিহাস
  • ইন্টারনেট
লেখক : সাগর মল্লিক
শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

ট্যাগ সমূহ

ঝিকরগাছার ইতিহাস, ঝিকরগাছা উপজেলার ইউনিয়ন, ঝিকরগাছা খবর, গদখালি ঝিকরগাছা, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান, ঝিকরগাছা পোস্ট কোড, ঝিকরগাছা এমপি, ঝিকরগাছা আবহাওয়া, ঝিকরগাছা উপজেলা ম্যাপ, ঝিকগাছার ঐতিহ্য, পানিসারা, ঝিকরগাছা পৌরসভা, ঝিকরগাছা দর্শনীয় স্থান, ঝিকরগাছা বাজার।