পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষের আয়জনের অন্যতম অনুষঙ্গ 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'। গত শতাব্দীর আশির দশকে শুরু হওয়া এ উৎসব পরিণত হয়েছে জাতি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে বাঙালির প্রাণের উৎসবে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। জাতিসংঘ 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'কে ২০১৬ সালে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দিয়েছে। ফলে এটি এখন বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু আমরা কী জানি মঙ্গল শোভাযাত্রার যাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে? চলুন জেনে নেয়া যাক সেই ইতিহাস।
শোভাযাত্রাটির আয়োজন করেছিল যশোরের চারুপীঠ আর্ট ইন্সটিটিউট। এবং মূল উদ্যোক্তা হিসাবে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ভাষ্কর মাহবুব জামাল শামীম। সাথে ছিল শিল্পী হিরন্ময় চন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। প্রথম সেই শোভাযাত্রাটির নাম ছিল ‘বর্ষবরণের শোভাযাত্রা’।
প্রথম শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল যশোরের সাড়ে তিনশ শিশু ও কিশোর। তাদের কেউ সেদিন সেজেছিল রাজকুমার, রাজকুমারি, কেউ সেজেছিল ফুল কিংবা পাখি। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল নানা রকমের রঙিন পাপেট- বাঘ, হাতি, দৈত্য কিংবা ভূত। ছিল শিল্পী এম,এম সুলতানের আঁকা চিত্রকর্মও।
প্রথম বছরেই দারুণ সাড়া পায় শোভাযাত্রাটি। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন একত্রিত হয়ে শোভাযাত্রাটি বৃহৎ পরিসরে উদযাপন করেন। সে বছর ‘যশোর বর্ষবরণ পর্ষদ’ গঠন করা হয়েছিল। এরপর থেকেই মূলত শোভাযাত্রাটি সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রার গোড়াপত্তন হয়েছিল যশোরে
১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ আয়োজন করে চলেছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আগে দেশের প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার গোড়াপত্তন ঘটেছিল যশোরে। ১৯৮৫ (বাংলা ১৩৯২) সালের ১লা বৈশাখে। তখন দেশে সামরিক শাসন চলছে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। মূলত এরশাদের শৈরাচার শাসনের প্রতিবাদে দেশের লোকজ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং অশুভের বিনাশ কামনা করে শুভশক্তির আগমনের প্রার্থনা করাই ছিল এই শোভাযাত্রার লক্ষ্য।শোভাযাত্রাটির আয়োজন করেছিল যশোরের চারুপীঠ আর্ট ইন্সটিটিউট। এবং মূল উদ্যোক্তা হিসাবে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ভাষ্কর মাহবুব জামাল শামীম। সাথে ছিল শিল্পী হিরন্ময় চন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। প্রথম সেই শোভাযাত্রাটির নাম ছিল ‘বর্ষবরণের শোভাযাত্রা’।
প্রথম শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল যশোরের সাড়ে তিনশ শিশু ও কিশোর। তাদের কেউ সেদিন সেজেছিল রাজকুমার, রাজকুমারি, কেউ সেজেছিল ফুল কিংবা পাখি। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল নানা রকমের রঙিন পাপেট- বাঘ, হাতি, দৈত্য কিংবা ভূত। ছিল শিল্পী এম,এম সুলতানের আঁকা চিত্রকর্মও।
প্রথম বছরেই দারুণ সাড়া পায় শোভাযাত্রাটি। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৬ সালে যশোরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন একত্রিত হয়ে শোভাযাত্রাটি বৃহৎ পরিসরে উদযাপন করেন। সে বছর ‘যশোর বর্ষবরণ পর্ষদ’ গঠন করা হয়েছিল। এরপর থেকেই মূলত শোভাযাত্রাটি সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।
এস,এম সুলতানের চিত্রকর্মও প্রদর্শিত হয়েছিল সেদিন |
দারুণ তথ্য ও লেখা। ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুন