১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ বাধলে স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয় ঢাকা-বেনাপোল রেলযোগাযোগ। এরপর প্রায় ৫ যুগ পেরিয়ে, ২০১৯ সালের ১৭জুন মহাসমারোহে পুনরায় চালু হয় ঢাকা-বেনাপোল রেলযোগাযোগ। গণভবন থেকে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে রুটটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমদিকে কোচটি ঝিকরগাছা স্টেশনে না থামলেও গণদাবীর মুখে ২০১৯ সালের পহেলা নভেম্বর হতে ঝিকরগাছা থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করে।
বগির ধরণ ও সংখ্যা
৮৯৬টি আসনের বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রী পরিবহনের জন্য রয়েছে মোট ৯টি বগি। যার মধ্যে ৭টি শোভন চেয়ার, ১টি এসি চেয়ার ও ১টি এসি কেবিন। ঝিকরগাছা স্টেশনের যাত্রীদের জন্য বরাদ্ধ আছে শোভন চেয়ারের ২০টি সিট। এছাড়াও অনলাইনের জন্য আলাদা সংখ্যক ছিট সংরক্ষিত থাকে।
সময়সূচী
বেনাপোল এক্সপ্রেস বুধবার ব্যাতিত সপ্তাহের বাকি ৬ দিন ঢাকা-বেনাপোল ও বেনাপোল-ঢাকা রুটে চলাচল করে। প্রতিদিন দুপুর ১:৩০ মিনিটে ঝিকরগাছা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ১১টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে বেনাপোল এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সকাল ৯:৩০ মিনিটে ঝিকরগাছা এসে পৌঁছে।
টিকিটের মূল্য
সরাসরি স্টেশন থেকে টিকিট কিনলে ঝিকরগাছা টু ঢাকা ভ্রমণের জন্য গুনতে হবে ৪৮৫ টাকা। এছাড়া অনলাইন থেকে সংগ্রহ করলে ব্যাংক চার্জ বাবদ প্রদান করতে হবে অতিরিক্ত ২০টাকা।
যেভাবে টিকিট কাটবেন
সরাসরি রেল ইস্টিশন থেকে অথবা অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করার ব্যবস্থা রয়েছে। ইস্টিশন থেকে টিকিট সংগ্রহের জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। একজন যাত্রী সর্বচ্চো ৪টি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
রুট ও যাত্রাবিরতি
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঝিকরগাছা থেকে যাত্রা শুরুর পর যশোর জংশন, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, ভেড়ামারা, ঈশ্বরদী জংশন ও ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী উঠানামা করে।