ঝিকরগাছা জনপদের মানুষের শীত নিবারণের প্রধানতম অনুষঙ্গ লেপ। বহুকাল ধরে এ অঞ্চলে লেপের ব্যবহার হয়ে আসছে। শীতের আগমনী বার্তায় ঝিকরগাছা বাজারে বাড়ছে লেপ তৈরি ও বিক্রি। ব্যস্ত সময় পার করছে ধনুকররা। ভোর থেকে রাত অবধি চলছে কাজ। ঝিকরগাছা'য় লেপ-তোষক বিক্রির দোকানগুলোতে সরিজমিনে যেয়ে দেখা গেছে দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ভীড় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি।
ঝিকরগাছা'য় লেপ তৈরির খরচ কেমন, কোথা থেকে বানাবেন, মজুরি কত, লেপ তৈরির প্রক্রিয়া, লেপ তৈরিতে লাল কাপড়ের ব্যবহৃত হয় কেন এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে ঝিকরগাছাডটকম।
খরচ কেমন?
লেপ তৈরির প্রধান উপকরণ তুলা ও কাপড়। লেপ তৈরিতে সাধারণত কার্পাস তুলা ব্যবহার করা হয়। এবছর ঝিকরগাছায় কেজি প্রতি কার্পাস তুলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা দরে। প্রতি গজ লাল কাপড়ের দাম পড়বে ৪০-৪৫ টাকা। এবছর ধুনকররা লেপ তৈরির মজুরি নিচ্ছে ৩০০ টাকা। সর্বসাকুল্যে কার্পাস তুলার ভালো মানের একটি লেপ তৈরিতে খরচ পড়বে ১৫০০-১৮০০টাকা।
ঝিকরগাছা বাজারের ওয়াপদা রোডে (কামার পট্টি) রয়েছে সারিসারি বেডিং তৈরির দোকান। এই দোকানগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী ইচ্ছে মতো অর্ডার দিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন লেপ। বিভিন্ন সাইজ ও মানের রেডিমেড লেপও পাওয়া যাবে এখানে।
কীভাবে বানানো হয়?
ব্যবহৃত তুলা প্রথমে ধনুকের ন্যায় চিকন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে নরম করে নেয়া হয়। এরপর লাল কাপড় দিয়ে লেপের কাঠোমোর ভেতর তুলা ভরে সাদা সুতা দিয়ে সেলাই করে তৈরি করা হয় লেপ।
লেপের চাহিদা কী কমে যাচ্ছে?
বাজারে কারখানায় তৈরি কম্বল ও অন্যান্য ম্যাট্রেসের আধিপত্যে লেপের আবেদন কী ফুরিয়ে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বাজারে আসলাম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আসলাম আল আরমান বললেন, 'কম্বল ব্যবহারের পরিমাণ বাড়লেও খুব একটা কমেনি লেপের চাহিদা। এ অঞ্চলে এখনও বেশ রয়েছে লেপের আবেদন।'